ইতিহাসের সাক্ষী রানাঘাট এই কবি মিলন উৎসব।
নবীন বাবু বি.এ. পাশ করার পরে প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ সাট্ক্লিফ এর সুপারিশে কলকাতার বিখ্যাত হেয়ার স্কুলে তৃতীয় শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান। কিন্তু কিছুদিন পরে বেকার হয়ে পড়েন।
পরে ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন।
তিনি রানাঘাট মহকুমা প্রশাসক ছিলেন বেশ কিছুদিন। ১৮৯৪ সালের এমনই এক ৪ ঠা সেপ্টেম্বর তার আমন্ত্রণে রানাঘাটে এসেছিলেন যুবক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তৎকালীন মহকুমাশাসক ছিলেন যুবক নবীনচন্দ্র সেন।
তিনি একদিকে মহকুমা শাসক ও অন্যদিকে একজন বিশিষ্ট কবি। যেমন তার একটি লেখা কাব্য পলাশির যুদ্ধ (১৮৭৫)।
সেই দিনটি স্মরণ করে কবি মিলন উৎসব পালন করা হয় মহকুমা শাসকের বাংলো তে ও রানাঘাট এর বিভিন্ন স্থানে। এই কবিমিলন উৎসব রানাঘাটের ঐতিহ্য, গর্ব, অহংকার আর পরম্পরার ইতিহাস বহন করে চলেছে বছরের পর বছর।
কর্মজীবনে তিনি বাংলা, বিহার, ত্রিপুরার অনেকস্থানে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ফেনী হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল। প্রায় ছত্রিশ বছর সরকারি চাকুরি করার পরে ১ জুলাই ১৯০৪ অবসর গ্রহণ করেন।
নবীনচন্দ্রের প্রথম কবিতা কোন এক বিধবা কামিনীর প্রতি প্রকাশিত হয় তৎকালীন অন্যতম খ্যাতনামা পত্রিকা এডুকেশন গেজেট-এ, যখন তিনি এফ.এ (বর্তমান উচ্চ মাধ্যমিক) শ্রেণীর ছাত্র। তার প্রথম বই "অবকাশরঞ্জিনী"র প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয় ১২৭৮ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ এবং এর দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয় ২৯ জানুয়ারি, ১৮৭৮এ।
নবীনচন্দ্রের মহাকাব্যের মধ্যে রয়েছে বিশেষ করে - পলাশির যুদ্ধ (১৮৭৫), রৈবতক (২রা ফেব্রুয়ারি ১৮৮৭), কুরুক্ষেত্র ( ১৮ই জুলাই ১৮৯৩), প্রভাস (১৮৯৭) ইত্যাদি।
0 মন্তব্যসমূহ